
গান আমার রক্তে মিশে আছে,কণ্ঠশিল্পী হোসেন সিকদার
বিনোদন রিপোর্টঃ
ছোট বেলা থেকেই গান পাগল এক মানুষ আমি, সঙ্গীতের সাথে আমৃত্যু আছি থাকবো,গান গেয়ে সারা বিশ্বের মানুষের ভালোবাসা কুড়াতে চাই। কথাগুলো কণ্ঠশিল্পী হোসেন সিকদারের,যিনি ইতিমধ্যে স্টেজশো ও মৌলিক গানে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।
হোসেন সিকদারের পুরো নাম মোঃ হোসেন সিকদার,তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায়। ছোট বেলা থেকেই গান করা এই মানুষটিকে এলাকার মানুষ গানপাগল হোসেন হিসেবেই চিনেন। ছোট থেকে গ্রামের বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়মিত গান করতেন তিনি।
হোসেন সিকদারের গানের প্রথম হাতে খাড়ি হয় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ওস্তাদ আবুল সরকারের হাত ধরে,এছাড়া মাত্র ১১বছর বয়স থেকেই সঙ্গীতের সাথে পথচলা শুরু করেন এই কণ্ঠশিল্পী।
কোন বাগিচার ফুল তুমি এলাবামের মাধ্যমে সঙ্গীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন হোসেন সিকদার, এছাড়া বেশ কয়েকটি কাভার গান প্রকাশিত হয় তার কন্ঠে।
হোসেন সিকদার গান করেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আবুল সরকার, আখি সরকার, আলেয়া বেগম, জহির পাগলা আরো অনেক শিল্পীদের সাথে।
বর্তমানে নিজের মৌলিক গান ও স্টেজশো নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তিনি,খুব শিঘ্রই বেশ কয়েকটি গান নিয়ে শ্রোতাদর্শকদের সামনে হাজির হবেন তিনি।
গান নিয়ে স্বপ্ন কি? জানতে চাইলে কণ্ঠশিল্পী হোসেন সিকদার বলেন, সঙ্গীতকে মনেপ্রাণে ধারন করেছি,গান ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারি না,তাই যতদিন বেঁচে আছি গান গেয়ে যাবো। সবার ভালোবাসা ও দোয়া কামনা করছি।

বিনোদন রিপোর্টঃ
আমার জিবনের সাথে মিশে আছে সঙ্গীত, যতদিন বেঁচে আছি বাংলা গান কে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই, কারন সঙ্গীত আমার আত্মার খোরাক।
কথাগুলো সময়ের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী মোস্তফা কামাল বয়াতির,যিনি ইতিমধ্যে গান গেয়ে জয় করেছেন দেশ ও বাহিরের লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়।
পরিবারের সবাই মোস্তফা নামে ডাকলেও শিল্পী হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন মোস্তফা কামাল বয়াতি নামে।
তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নরসিংদী জেলা সদরের পাঁচদোনা ইউনিয়নের মূলপাড়া নামক গ্রামে, ছোট বেলা থেকে তার ছিল সঙ্গীতের প্রতি বেশ ঝোঁক। তাইতো মাত্র ১২বছর বয়সেই গানের সাথে তার সখ্যতা শুরু হয়।
মোস্তফা কামাল বয়াতির গানের প্রথম হাতে খড়ি হয় ১৯৮৪ইং সালে বাউল সম্রাট শফি মন্ডলের হাত ধরে। এছাড়া স্থানীয় একাডেমিতে ও নিয়মিত গান শিখতেন তিনি।
মন তুই কেনো অস্থির শিরোনামের এলবামের মাধ্যমে সঙ্গীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন এই কণ্ঠশিল্পী, পরবর্তী তার কন্ঠে কিসের সন্ধানে ফিরো ও মন আমার অচিন পাখি সহ বেশ কয়েকটি মৌলিক গান প্রকাশিত হয়।
মোস্তফা কামাল গেয়েছেন দেশশেরা গীতিকার সুরকারদের লেখা ও সুরে গান করেছেন,তার মধ্যে কফিল উদ্দিন সরকার, সাজ্জাদ নুর, কালামিয়া, শাহ আব্দুল করিম, আবু জাফর, সুকুমার রায় সহ আরো অনেক দেশবরণ্য বিভিন্ন গীতিকার সুরকারের সাথে কাজ করেছেন তিনি।
এপর্যন্ত প্রায় ১৫০টির অধিক মৌলিক গান প্রকাশিত হয়েছে, তারমধ্যে বেশ কয়েকটি গান পেয়েছে বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা। এছাড়া অপ্রকাশিত গানের তালিকায় রয়েছে ২০থেকে ২৫টির মতো মৌলিক গান।
তার কন্ঠের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে,বন্ধু আমারে গিয়াছে ভুলিয়া রে,তাজা ফুলের গাঁথা মালা,আমি সাজিবো কার লাগি,গিরিধারী নাগর, দুঃখ দিয়া সুখ যদি পাও,আমার আপন ভবে কেউ নাই, আমার পাল ছাড়ানো নৌকা,দুঃখিনী মাগো,পলকে পলকে, কোন আলো লাগলো চোখে,গোধূলি লগনে শিরোনামের গানগুলো অন্যতম।
জানতে চাইলে মোস্তফা কামাল বয়াতি বলেন, গান জীবনের কথা বলে, মানবতার কথা বলে,স্রষ্টার কথা বলে। এছাড়া গান আমার জীবন মরণের সাধনা, আমৃত্যু সঙ্গীতের সাথেই আছি থাকবো। সবার ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষ ও কুৎসা রটনাকারী ছাত্রলীগে নেতা কামরান হোসেন রিয়াদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ৫৩ নং ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার সকাল ১১ ঘটিকায় ৫৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন সহ সন্ধার পর সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ৫৩নং নং ওয়ার্ড বিএনপি।
মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৫৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর খান লিপু, তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উক্ত ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী।
মানববন্ধনের এক বক্তব্যে ৫৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আলমগীর খান লিপু তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই কুলাঙ্গার কুৎসা ও রটনা সহ প্রতিনিয়ত বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বিদেশে পালিয়ে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিএনপির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অনতিবিলম্বে এই কুলাঙ্গারকে দেশে এনে শাস্তির আওতায় আনার জন্য আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি,যাতে আগামী কেহ এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকে।
ডেক্স রিপোর্ট ,
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকার সাভারে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সরকারি-বেসরকারি ভবন, দোকানপাট ও বিপণিবিতানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পরিবহনে।
২৩ শে জুলাই মঙ্গলবার সাভারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রেডিও কলোনি থেকে সাভার ব্যসষ্ট্যান্ড-সংলগ্ন পাকিজা এলাকায় সড়ক বিভাজকের বেশ কিছু অংশ সড়কের ওপর পড়ে আছে। থানা স্ট্যান্ড-সংলগ্ন একটি ভবনের নিচে মিষ্টির দোকানের বাইরে পোড়া চিহ্ন। সাভার মডেল মসজিদের অদূরে মহাসড়কের আরিচাগামী সার্ভিস লেনের পাশে ভষ্মীভূত হয়ে আছে চারটি বাস, একটি করে ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রোবাস।
সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতরে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ি, কার্যালয়ের ভেতরে অফিসকক্ষের ভাঙচুর হওয়া আসবাব ও পুড়ে যাওয়া কাগজপত্র ছড়িয়ে- ছিটিয়ে পড়ে আছে।
এ ছাড়া মহাসড়ক-সংলগ্ন বিপণিবিতান সিটি সেন্টারে সামনের অধিকাংশ কাচ ভাঙা। স্মরণিকা এলাকায় স্থানীয় পত্রিকা ফুলকির কার্যালয়ের কাচ ও আসবাব ভাঙচুর অবস্থায় দেখা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেলে কয়েক শ দুষ্কৃতকারী হামলা করে ফটক ভেঙে কার্যালয়ে চারটি কক্ষে ও গ্যারেজে আগুন দেয়। এ ছাড়া কার্যালয়ের ১৩টি কক্ষ ভাঙচুর করে। রাতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), রেফ্রিজারেটর, ফ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে । এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রান চন্দ বলেন, সাভারে গত কয়েক দিনের ঘটনায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদে ইটপাটকেল ছুড়েছে তারা। উপজেলা পরিষদ ফটকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙা হয়েছে।
পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম আর আম ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) মো, আবানুমাহিন কাজী বলেন, দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
সূত্র: প্র/আ/২৫/৭
ডেক্স রিপোর্ট ,
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকার সাভারে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সরকারি-বেসরকারি ভবন, দোকানপাট ও বিপণিবিতানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পরিবহনে।
২৩ শে জুলাই মঙ্গলবার সাভারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রেডিও কলোনি থেকে সাভার ব্যসষ্ট্যান্ড-সংলগ্ন পাকিজা এলাকায় সড়ক বিভাজকের বেশ কিছু অংশ সড়কের ওপর পড়ে আছে। থানা স্ট্যান্ড-সংলগ্ন একটি ভবনের নিচে মিষ্টির দোকানের বাইরে পোড়া চিহ্ন। সাভার মডেল মসজিদের অদূরে মহাসড়কের আরিচাগামী সার্ভিস লেনের পাশে ভষ্মীভূত হয়ে আছে চারটি বাস, একটি করে ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রোবাস।
সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতরে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ি, কার্যালয়ের ভেতরে অফিসকক্ষের ভাঙচুর হওয়া আসবাব ও পুড়ে যাওয়া কাগজপত্র ছড়িয়ে- ছিটিয়ে পড়ে আছে।
এ ছাড়া মহাসড়ক-সংলগ্ন বিপণিবিতান সিটি সেন্টারে সামনের অধিকাংশ কাচ ভাঙা। স্মরণিকা এলাকায় স্থানীয় পত্রিকা ফুলকির কার্যালয়ের কাচ ও আসবাব ভাঙচুর অবস্থায় দেখা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সাজেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার বিকেলে কয়েক শ দুষ্কৃতকারী হামলা করে ফটক ভেঙে কার্যালয়ে চারটি কক্ষে ও গ্যারেজে আগুন দেয়। এ ছাড়া কার্যালয়ের ১৩টি কক্ষ ভাঙচুর করে। রাতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), রেফ্রিজারেটর, ফ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে । এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রান চন্দ বলেন, সাভারে গত কয়েক দিনের ঘটনায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদে ইটপাটকেল ছুড়েছে তারা। উপজেলা পরিষদ ফটকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙা হয়েছে।
পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম আর আম ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) মো, আবানুমাহিন কাজী বলেন, দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
সূত্র: প্র/আ/২৫/৭